দূর থেকে পরিচিত মানুষের বিপদ দেখে প্রথমে বেশ চিন্তিত হলেও পরোপকারী আরেক ব্যক্তির স্বার্থহীন সাহায্যের হাত প্রসারিত করতে দেখে রীতিমতো অবাক হলাম, তাও জোর করে কাউকে অর্থকড়ি দেয়া এ যুগের মানুষের কাজ হতেই পারেনা, মনে হয়েছে এযেনো কোনো এক ফেরেশতা কর্তৃক অলৌকিক একটি ঘটনা।
অফিস থেকে বের হয়ে ঘরে ফিরবো, ঠিক তখন রাস্তার এক পাশে একজন আরবিয়ানের সাথে পরিচিত সেই বাংলাদেশীর তর্কবিতর্ক চোখে পড়লো।
কাছে গিয়ে ঘটনাটি জানার চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু ততক্ষণে সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল।
চতুর্দিকে উৎসুক পথচারী দাড়িয়ে আরাবিয়ান ও বাংলাদেশীর মধ্যে চলতে থাকা তর্কবিতর্ক অবলোকন করছিল।
মূল ঘটনাঃ
পরিচিত সেই বাংলাদেশী এক মিশরীয় আরাবিয়ানের পার্কিং করা গাড়ির সামনভাগে ধাক্কা লাগালে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেই গাড়িটি।
মিশরীয় আরাবিয়ান প্রচণ্ড রাগান্বিত হয়ে সেই বাংলাদেশীকে যাচ্ছেতাই বলতে থাকে।
যদিও সেই বাংলাদেশী মিশরীয়কে শান্ত করার সব ধরনের চেষ্টা করছে, কিন্তু সেই মিশরীয় কিছুতেই সন্তুষ্ট হচ্ছেনা।
ঠিক তখন একজন কুয়েতী ঘটনাস্থলে হাজির, প্রথমে সেই কুয়েতি ঘটনা জানার চেষ্টা করেছিল।
পরে মিশরীয়কে সেই কুয়েতি শান্ত হতে বলতেই, মিশরীয় শান্ত হয়।
এবার সেই অচেনা কুয়েতি তার পকেট থেকে ১০ দিনারের এক বান্ডিল টাকা বের করে মিশরীয়কে বলে,তোমার ক্ষতিপূরণ দিতে চাই।
কতোটাকা লাগবে তোমার গাড়ি মেরামত করতে?
মিশরীয় সেই কুয়েতির এহেন উত্তম আচরণ দেখে হতভম্ব হয়ে যায়।
একপর্যায়ে সেই কুয়েতি উক্ত গাড়ি মেরামত বাবদ দিগুণ টাকা মিশরীয়কে দিতে চাইলে, টাকা অতিরিক্ত হয়েছে বলে মিশরীয় কিছু টাকা কুয়েতিকে ফেরত দিয়েছিল।
এযুগে স্বার্থছাড়া কেউ কাউকে কিছু দেয়না, একথা নতুন করে বলার অবকাশ নেই।
কিন্তু একজন কুয়েতি রীতিমতো জোর করে কিছু টাকা মিশরীয়কে দিয়ে বাংলাদেশীকে বিপদমুক্ত করেছে, এটি সত্যিই বিরল।
পরোপকারী কুয়েতির অর্থে বিপদমুক্ত হলেন পরিচিত সেই বাংলাদেশী।